সায়নদীপ দাস



১।
আশাকরা যায়
জরারহিত অতলান্ত
এই সুদূর দক্ষিণ
অপ্রতিভ নক্ষত্রের প্রতি
রশ্মির অন্তঃস্তলিত হিয়ায়
আয়ুক্ষয়ী অবসন্ন সুশোভন পিড়া
অভিশপ্ত বর্ণ
প্রিয়া, সোম প্রবাহিত
কবিতা অন্তরিক্ষের পথে
অতি ক্লান্ত বালুচর
শব্দযুক্ত বাতাস
সংগ্রাম বিনিময়ে
উচ্চারণ, জিহ্বা
পূর্বেই সংগ্রহ করা হয়েছে
নিখিল জলরাশি
ক্ষণস্থায়ী পিড়ায়
সৃষ্টি ক্ষরিত
তাদের প্রতিচ্ছবি গুলি



২।
এখানে পাক্ষিক কোনো সময় কে দেখা হয় না নতুন করে
আমরা ভুলে যেতে পারি এই সব সৃষ্টি কে
এখন আমি শয়তান আমি ঈশ্বর আমি নাস্তিক
ভ্রাম্যমাণ কোনো ভাবনার ভিতর হারিয়ে যাওয়া যায়
কিন্তু সেই পরম মুহূর্তে সৃষ্টি প্রেরিত কিছু ভৌতিক ডিফরমেসন থেকে যায় বর্তমানে
হাঁ আমরা এভাবেই ছেড়ে যাই ছায়া কে
সময়ের যোনিতে বিষম কোনো ইনফিনিটির মতো
মাধ্যাকর্ষণ কে উপেক্ষা করা যায় নির্দ্বিধায় সে সময়ে
এবং অন্ধকার আমাদের মা, তিনি চির প্রাচীন
আর আমরা এভাবেই মৃত্যু কে জয় করবো ...



৩।
সমস্তপ্রকার ব্যাপনে অনুঘটক রূপে
হৃৎপিন্ড প্রকোষ্টে তৃপ্তিহীন জ্বালা বিচরণরত
বাসে চাপা খাওয়ার ভয়, অনিয়ন্ত্রিত জনপথে সুন্দর নারী বা পুরুষের- ফেস্টুন
সময়ের চলাচলের ভেতর পুষ্ট নিরাশা, এর দ্বারা আলোক সরনের সমান্তরালে অন্ধকার
অবস্থান রত
চোখে বলিরেখার আড়ে আটকে গেছে তুলনামূলক সময়ভার,
বক্তব্য বা ব্যাভিচার প্রতিরূপ ফেস্টুন অনড় পথপ্রদর্শক, মুখস্থ হাসি
টায়ারের সরসর শব্দে ফেটে যাচ্ছে মানব শাবকের মানবিক পর্দা
প্রকৃতপক্ষে রাশিফল ছিঁড়ে ঝুলে পড়ছে
অলিন্দ ও নিলয়ে এখনো পর্দা প্রথা বর্তমান
বিষ-বিষক্রিয়ায়-প্রদাহ সান্নিধ্যে
যুক্তিপথে একাত্ম বা শূন্যে, ফেস্টুনের পড়ে থাকা আসলে সময়ের স্টেবিলিটির রূপক,
অতএব অখন্ড তৃপ্তিহীনতা আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত মন্তব্য সমূহ,
ছুড়ে ফেলা অয়লগরিদমের অসফলতা বা কৃতিত্ব


No comments:

Post a Comment